Thursday 14 July 2016

শ্রেষ্ঠ উপহার

ডিভোর্সের নোটিসটা হাতে পেয়েই চমকে উঠেছিল নীলাঞ্জনা। মানেটা কি! বিতনু ডিভোর্স চায় কেন? কি তার অপরাধ! চেম্বার থেকে ছুটে বেরিয়ে এসেই ফোন করে বিতনুকে। মাথাটা ঝিম ধরে আসছিল নীলাঞ্জনার। হঠাৎ মাথা ঘুরে নিজের চেম্বারের বারান্দাতেই পরে যায়। জ্ঞান যখন ফেরে দেখে, নিজের চেম্বারেই শুয়ে আছে সে। পাশে কম্পাউন্ডার নীরজ।
-"আপ ঠিক তো হ্যায় doctor ma'am?"
-"হাঁ, তুম ড্রাইভার কো গাড়ি নিকালনে কো বোলো, kolkata জানা হ্যায়।"
শিলিগুড়ির একটা সরকারী হাসপাতালের Gynecologist নীলাঞ্জনা কিছুতেই মানতে পারছিল না বিতনুর এইরকম একটা ডিসিশন। মাথা কিছুতেই কাজ করছিল না। এটাই বিতনু চায়! সেই বিতনু! যার সাথে এক দু বছর নয়, প্রায় ১৮ বছর কাটিয়েছে নীলাঞ্জনা।

Monday 11 July 2016

রংনম্বার

(1)
অনিরুদ্ধের মোবাইল বেজে উঠল ফোনটা তুলে নিয়ে দেখলো একটা অচেনা নাম্বার । হ্যলো বলতেই অন্যপ্রান্ত থেকে একটা মিষ্টি কন্ঠস্বর ভেসে এল,
“হ্যলো তনিমা আছে ?” অনিরুদ্ধের বুঝতে অসুবিধা হোলনা যে এটা রং নাম্বার, ফোনের গলাটা এতই মিষ্টি অনিরুদ্ধ কথা চালিয়ে যাবার জন্য বললো “ না মানে ও তো একটু বেরিয়েছে মোবাইলটা ফেলে গেছে ফিরলে কি বলবো ? ” ফোনের ও প্রান্তর কন্ঠস্বর বল্লো “ ও আচ্ছা ঠিক আছে ও এলে বলবেন রমা ফোন করেছিল ” তারপর ফোনটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল । অনিরুদ্ধ কিছুতেই গলাটা ভুলতে পারেনা, মেয়েটার নাম জানে, মোবাইল নং জানে ,আর জানে মেয়েটার গলা খুব মিষ্টি । দুদিন পর অনিরুদ্ধ রমার নাম্বারে কল করলো