Thursday 18 August 2016

কোন কাজ ছোট নয়

গল্প টা বড় হলেও পড়ে দেখেন ভাল লাগবে 😊
-ঢাকা শহরে আমার একটানা দুই দিন না খাওয়ার রেকর্ড আছে।
--দুইইই দিন!
-জ্বি ভাই দুই দিন। এছাড়া পুরো দিন না খেয়ে ছিলাম এমন দিনের সংখ্যাও কম নয়। বাবা মারা যাওয়ার পরে ঢাকায় নতুন আসছি, যেই মেসে উঠছিলাম সেখানে দুই মাসের ভাড়া বাকী পড়ছিল, দেড় মাসের মিল খরচও দিতে পারি নাই। পরে ওরা আমার মিল বন্ধ করে দেয়। ওদেরই বা কী দোষ বলেন, ওরদেরও তো নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। আরেকজনকে মাসের পর মাস ফ্রী খাওয়ানোর মত অবস্থা নাই।

Thursday 14 July 2016

শ্রেষ্ঠ উপহার

ডিভোর্সের নোটিসটা হাতে পেয়েই চমকে উঠেছিল নীলাঞ্জনা। মানেটা কি! বিতনু ডিভোর্স চায় কেন? কি তার অপরাধ! চেম্বার থেকে ছুটে বেরিয়ে এসেই ফোন করে বিতনুকে। মাথাটা ঝিম ধরে আসছিল নীলাঞ্জনার। হঠাৎ মাথা ঘুরে নিজের চেম্বারের বারান্দাতেই পরে যায়। জ্ঞান যখন ফেরে দেখে, নিজের চেম্বারেই শুয়ে আছে সে। পাশে কম্পাউন্ডার নীরজ।
-"আপ ঠিক তো হ্যায় doctor ma'am?"
-"হাঁ, তুম ড্রাইভার কো গাড়ি নিকালনে কো বোলো, kolkata জানা হ্যায়।"
শিলিগুড়ির একটা সরকারী হাসপাতালের Gynecologist নীলাঞ্জনা কিছুতেই মানতে পারছিল না বিতনুর এইরকম একটা ডিসিশন। মাথা কিছুতেই কাজ করছিল না। এটাই বিতনু চায়! সেই বিতনু! যার সাথে এক দু বছর নয়, প্রায় ১৮ বছর কাটিয়েছে নীলাঞ্জনা।

Monday 11 July 2016

রংনম্বার

(1)
অনিরুদ্ধের মোবাইল বেজে উঠল ফোনটা তুলে নিয়ে দেখলো একটা অচেনা নাম্বার । হ্যলো বলতেই অন্যপ্রান্ত থেকে একটা মিষ্টি কন্ঠস্বর ভেসে এল,
“হ্যলো তনিমা আছে ?” অনিরুদ্ধের বুঝতে অসুবিধা হোলনা যে এটা রং নাম্বার, ফোনের গলাটা এতই মিষ্টি অনিরুদ্ধ কথা চালিয়ে যাবার জন্য বললো “ না মানে ও তো একটু বেরিয়েছে মোবাইলটা ফেলে গেছে ফিরলে কি বলবো ? ” ফোনের ও প্রান্তর কন্ঠস্বর বল্লো “ ও আচ্ছা ঠিক আছে ও এলে বলবেন রমা ফোন করেছিল ” তারপর ফোনটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল । অনিরুদ্ধ কিছুতেই গলাটা ভুলতে পারেনা, মেয়েটার নাম জানে, মোবাইল নং জানে ,আর জানে মেয়েটার গলা খুব মিষ্টি । দুদিন পর অনিরুদ্ধ রমার নাম্বারে কল করলো

Wednesday 6 April 2016

ওয়েডিং সিরোমোনি

লিখেছেন - শুকনোপাতা - Wedding ceremony

মাথায় মনে হয়  বাজ পড়ল ইলার!!তাও আবার একটা না এক সাথে কয়েকটা...ধাম,ধাম,ধাম!
প্রথম বাজটা পড়ল যখন কনভেনশন সেন্টার  অফিস থেকে ফোন করে জানানো হলো,আগামী বছরের জুন মাসের আগে তাদের কোন হলরুম খালি নেই,এবং আগামী ফেব্রুয়ারীর আগে কোনভাবেই কোন কন্ট্রাক্ট বাতিল করে হল দেয়া সম্ভব না,কথাটা শুনে ইলার মাথা মনে হল ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে...! কোন রকমে দৌড়ে আব্বুর রুমে আসতেই শুনতে পেল,আব্বু আম্মুকে বলছে,

Thursday 31 March 2016

বোঝাপড়া

লিখেছেন - শুকনোপাতা -  Bojhapora - misti premer golpo
অফিস ছুটির সময় প্রায় হয়ে এলো বলে,শেষ মূহুর্তের ছুটোছুটি চলছে এখন সব গুলো ফ্লোরে।সবাই ব্যস্ত,রাহাত সাহেব দ্রুত হাতের কাজ শেষ করে প্রজেক্ট ফাইলটা নিয়ে নাফিসা ম্যামের রুমে গেলেন,বরাবরের মতো ম্যাম একমনে কাজ করে যাচ্ছেন।রাহাত পরিস্কার গলায় বলল,
---ম্যাম,ইমপ্রেস গ্রুপের সাথে যে প্র্জেক্ট টা হচ্ছে তার খসড়া দেখিয়ে সাইন করাতে বলেছিলেন,ফাইলটা নিয়ে এসেছি,আশিক স্যার ও দেখে দিয়েছেন,জাস্ট আপনার সাইন দরকার।নাফিসা ম্যাম মাথা না তুলেই বললেন,
---ওকে,বাট আজ আর সাইন করতে পারব না,কাল সকালে দেখাবেন।

Saturday 26 March 2016

লাল ডায়েরির শেষ পাতা

Lal dairyr shesh pata
লিখেছেন - শুকনোপাতা
অনেক ভেবে চিন্তে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল নুমা।এলোমেলো সব কিছু কে আবার গুছাবে,আর তার শুরুটা এভাবেই হবে।আজকে কেন জানি খুব অভিযোগ করতে ইচ্ছে করছে ওর,খুব ইচ্ছে করছে কিন্তু কার কাছে করবে?...নিজের কাছে?হ্যা,এত গুলো দিন ধরে তো এটাই করে আসছে।সব রাগ,সব ক্ষোভ,সব অভিযোগ নিজের কাছেই জমা রাখছে।সামনে থাকা ছাইয়ের স্তুপের দিকে আবারো তাকালো,অনেকক্ষন ধরে তাকিয়ে থাকল সেদিকে...এই তো সেদিনের কথা,নিশাত এসে বলল,
''দোস্ত,তুই কি জানিস কেউ তোর জন্য দুনিয়া এক করে ফেলতে পারে?''!

Friday 25 March 2016

সময়ের সমীকরন

লিখেছেন - -শুকনোপাতা

কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে  উঠেছে নুমা,ইশ...!বাসা পা্ল্টানো যে কি ঝামেলার কাজ তার উপর এতো বছর এক জায়গায় সব কিছু সাজিয়ে রাখার পর আবার সব কিছু এলোমেলো করে গুছানো সোজা কথা না।কিন্তু কি আর করা?...বাস্তবতা তো আর তা বুঝবেনা,তাই কষ্ট করতেই হচ্ছে।
কম সময় না,প্রায় ১২বছর।বলতে গেলে বুঝজ্ঞান হওয়ার পর থেকেই শাজাহানপুরের সেই বাসাতেই বড় হয়েছে নুমা।স্কুল,কলেজ,ভার্সিটি সব ওখান থেকেই শুরু ছিল। বড় বোন ইমা আপুর বিয়ে,পাভেল ভাইয়ের বাইরে পড়তে যাওয়া,দাদীর মৃত্যু ওদের পরিবারের প্রায় উল্লেখযোগ্য অনেক ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে সেই বাড়ীটা।

Thursday 24 March 2016

শূন্যতা অথবা পূর্ণতা

লিখেছেন - শুকনোপাতা |  Misti Golpo

কন্ট্রাক্ট পেপারে সাইন করে কিছুটা চমকে উঠলাম আজকের তারিখ দেখে!
এই যাহ!এবারো ভুলে গেলাম!এই নিয়ে পর পর তিনবার হলো...তবে একটু অবাক ও হলাম,সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় জলি ও তো কিছু বলল না,
সে ও কি আমার মতো ভুলে বসে আছে!এবার কিছুটা হাসি পেল আমার...
আজ আমাদের দশম বিবাহ বার্ষিকী।অথচ আমরা দু'জনেই দিব্বি ভুলে বসে আছি!হাহাহা
এ অবশ্য নতুন না,এর আগের বছর তো প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেছে অথচ আমাদের কারোরই মনে ছিলনা!পরে দু'জনেই মনে করে হেসেছিলাম।আসলে ব্যাস্ততা আর সময়ের চাপে আমাদের দু'জনেরই নিজেদের জন্য খুব একটা সময় নেই।